চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সমন্বয়ে গঠিত প্রকৌশল গুচ্ছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির চতুর্থ ধাপের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রকৌশল গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।
তৃতীয় ধাপে ভর্তির পর প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়েমোট আসন ফাঁকা আছে ৬৫টি। এর মধ্যে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে যথাক্রমে ৮, ১২, ৩৪টি এবং কুয়েটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১১টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, চতুর্থ পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে মেধাক্রম ৫৮০১ থেকে ৬৫০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিরীক্ষা কমিটির নিকট উপস্থিত প্রার্থীদের আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তি করা হবে। তবে, আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি প্রার্থী উপস্থিত হলে অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী একটি অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে উক্ত তালিকা হতে আসন খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তির জন্য প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।
ভর্তির দ্বিতীয় দিন, ১২ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মেধাস্থান এবং পছন্দক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নির্ধারণ করা হবে যা ১০টার মধ্যে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইটে দেওয়া হবে। ওইদিন সকালে প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাপ্ত বিভাগ দেখে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে কোনো প্রার্থী চাইলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রথম দিনই (১১ সেপ্টেম্বর) ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ব্যাংকে জমা দিতে পারবে।
চতুর্থ ধাপে ভর্তির পর মোট শূন্য আসন সংখ্যা এবং পরবর্তী ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়েব সাইটে দেওয়া হবে বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ রবিবার অনুষ্ঠিত হয় প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের গত ৮ মে, ৯ মে ও ২৯ মে ভর্তি করানো হয়। তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তির পরও আসন খালি থাকায় ৪র্থ ধাপে ভর্তির ডাক দেওয়া হয়েছিল গত ১৪-১৫ জুলাই। কিন্তু শিক্ষকদের কর্মবিরতির জেরে সেটি স্থগিত করা হয়।