স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশমতে সব ধরণের পরীক্ষা বন্ধ

চলমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিসিএস-মেডিকেলসহ সব ধরণের পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্তিরমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় পরীক্ষা বন্ধসহ ১২ দফা সুপারিশ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠকে এই সুপারিশ গৃহীত হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সভাপতিত্ব করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র এবং রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে যে প্রস্তাবগুলো করা হয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা সুপারিশ হলো- ১. সম্ভব হলে আবারও পুরোপুরি লকডাউনে যেতে হবে। সম্ভব না হলে জনসমাগম রোধ করতে হবে। ২. কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে। ৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। ৪. যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, মেডিকেল, এসএসমি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।

৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। ৬. যারা রোগীদের কন্ট্রাকে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা ৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া ৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা ৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা ১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা, ১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা এবং ১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

Eadmin

Related post