আজ ২৩ মার্চঃ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

 আজ ২৩ মার্চঃ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’।

১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ জাতিসংঘের একটি সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার পরিবর্তে গঠিত হয়। এটি ১৯৫১ সালে তাদের জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য আবহাওয়াবিজ্ঞান, অপারেশনাল জলবিজ্ঞান এবং পৃথিবী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোকে সমন্বয় করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬১ সালের ২৩ মার্চ প্রথম বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়।

Please wait while flipbook is loading. For more related info, FAQs and issues please refer to DearFlip WordPress Flipbook Plugin Help documentation.

 
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদী বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
ভৌগোলিক অবস্থান, পূর্ব আবহাওয়ার ইতিহাস, তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বায়ুর আর্দ্রতা, জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনাঞ্চলের পরিমাণ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ও প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিদ্যমান আবহাওয়া ও অদূর ভবিষ্যতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা সনাতন ও ডিজিটাল দুই পদ্ধতিতেই কাজ করেন। সসম্প্রতি প্রযুক্তি যোগ হয়েছে। এখন ইন্টিগ্রেটেড হাই পারফরম্যান্স কম্পিউটিং সিস্টেমে আগামী অন্তত ১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধির্দফতর।
এছাড়া সারা দেশে অর্ধশতাধিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর বাতাসের বেগ, তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, মেঘের গতি ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাত-দিন। সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাস প্রস্তুত করা হয়।

Eadmin

Related post